জীবন ক্যালেন্ডারে স্মরণীয় দুটি দিন।
ইতালিতে এসেছি প্রায় ছ’বছরের কাছাকাছি, পড়াশুনা, খেলাধুলা, আড্ডাবাজি আর আব্বুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একটু টাইম দিয়েই কেটে যাচ্ছিল আমার দিনগুলি। ফ্যমিলির সবাই এখানে থাকাতে প্রবাসে থাকার কষ্ট অনেকটাই বুঝতে পারিনি। গত কয়েক মাস যাবত মাথায় যেন কি একটা ভুত উঠলে যে “” পড়াশুনার পাশাপাশি পাটর্টাইম একটি কাজ করবো”। তো শুরু হলে কাজ খুঁজা, বতর্মানে ইতালির যে কাজের অবস্থা তাতে কাজের পুর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া একজনের পক্ষে কাজ পাওয়াটাই একটু কঠিন ই বটে। আর তাদের সারিতে আমিও, কারণ আমার আব্বুর সাইবার ক্যাফ দেখাশুনা করা ছাড়া আমি আর তেমন কোন কাজই করিনি। তারপর শুরু হলো কাজ খুঁজার পালা, অনেক খুজার পর অবশেষে পেলাম FLEXTRONICS GLOBAL SERVICES এ। ১লা সেপ্টম্বর ২০১১ থেকে শুরু হলো কাজের জগতে আমার আগমন। কাজে জয়েন করার পর থেকেই জীবনের অন্য রকম একটি স্বাদ নিতে শুরু করছি। সেই স্বাদ কখনো তিক্ত আবার কখনো ভাল লাগারও বটে। কাজ করতে করতে কিভাবে যে একটি মাস চলে গেল তা টেরই পেলাম না। গত সপ্তাহে বুস্তা পাগা (কাজ ও বেতনের বিবরণী) তুলে দেখতে পেলাম আমার জীবনের প্রথম কাজের বেতনের টাকা আমার ব্যাংকে চলে গেছে। ১৫ অক্টোবর সকালে ব্যাংক থেকে টাকা তুললাম। টাকা তোলার আগে থেকেই ভাবছিলাম কি করবো টাকা তুলে, অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম, বাসায় ফিরে আব্বু আম্মুকে এক সাথে ডেকে টাকা গুলি আব্বু আম্মুর হাতে দিবো। অবশেষে তাই করলাম। আজ ২২ ই অক্টোবর, আজ আমি ব্লগ লিখছি, তবে আমার সেই ক্ষণের অনুভুতির কথা লিখে বা কাউকে বলে প্রকাশ করার মতো নয়।
আমি দিয়েছি আম্মাজানকে মাত্র কিছু দিন আগে
নিজের উপার্জনের প্রথম টাকা বাবা মা’র হাতে তুলে দেয়ার মধ্যে যেই আনন্দ তা আমিও উপভোগ করেছিলাম চার মাস আগে যখন প্রথমবার স্যালারি তুলি। আমার টাকা নিয়ে আম্মু মনের মত এক শাড়ি কিনল আর আব্বু কি করেছে বলতে পারবনা। 😀
অসাধারন……………
আমি যখন প্রথম টিউশনির টাকা নিয়ে আম্মুকে একটা গিফট দিয়েছিলাম আম্মু এত খুশি হয়েছিল আজ সেই কথা মনে পড়ে গেল হিমেল……..:) সত্যি এই অনুভূতি গুলো অনেক আনন্দের………
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল তোমার জন্য এবং আংকেল আন্টি জন্য……ভাল থাক………